এ বছর নতুন শ্রেণিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রথা বিলুপ্ত করে আইডি নম্বর প্রদান করা হবে। আইডি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে দৈবচয়ন পদ্ধতি বা নামের বর্ণ ক্রমানুসারে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা, উপজেলা শিক্ষা কার্যালসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে
অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম সারাদেশে সম্পন্ন হয়েছে। এ মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর দেওয়া যথাযথ হবে কিনা তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ ছাড়া রোল নম্বর প্রথা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে, যা গুণগত শিক্ষা অর্জনে অন্তরায়। গুণগত শিক্ষা অর্জনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব নয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নম্বর প্রথার পরিবর্তে আইডি নম্বর ব্যবহার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দুই পদ্ধতিতে আইডি নম্বর দেওয়া যায়। একটি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে, অন্যটি শিক্ষার্থীর নামের বানানের প্রথম বর্ণ ক্রমানুসারে আইডি প্রদান করা যায়। এ আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
গত ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি রোল নম্বর থাকছে না। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের আইডি নম্বর দেওয়া হবে। পুরনো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে। রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তির ফলে বন্ধ হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা। তৈরি হবে সহযোগিতার মনোভাব। চলতি বছর লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কিছুটা সমতা আসবে এবং গুণগত শিক্ষা অর্জন সহজ হবে।